প্রথমবারের মতো ব্লাকহোলের ‘হার্টবিট’ রেকর্ড!
3 years ago By Depto Debnath 

প্রথমে ব্লাকহোলের ইভেন্ট হরাইজনের বাহিরে বস্তুদি অত্যন্ত গতির ফলে করোনা (অত্যন্ত উত্তপ্ত অংশ) গঠিত হয়। এরপর শক্তিশালি প্লাজমার জেট ব্লাকহোল থেকে প্রচন্ড গতিতে বিস্ফোরিত হয়ে ব্লাকহোলের দুই মেরু হতে মহাশূন্যে প্রায় আলোর গতিতে বেড়িয়ে আসে।

গবেষকরা ব্লাকহোলের এই অবস্থাকে গভীর পর্যবেক্ষণ করেন। আমাদের গ্যালাক্সিতে অবস্থিত ব্লাকহোলের পরিস্থিতি (করোণা ও প্লাজমা জেটের) এবং পর্যবেক্ষনকৃত তথ্য একটি গ্রাফের মাধ্যমে এই ছন্দপতনকে এর ‘হার্টবিট’ -এর সাথে তুলনা করে প্রকাশ করা হয়!

গ্রোনিংজেন বিশ্ববিদ্যালয় ও সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক গত ১৫ বছর ধরে ব্লাকহোলের এই হার্ট বিট বা জেটের নির্গত আলো (রেডিয়েশন) পর্যবেক্ষণ করে আসছিলেন। এর পর্যবেক্ষণ বিশাল সময় ধরে চলা দ্বন্দের অবসান ঘটাতে সহায়তা করে। বিষয়টার গবেষণাটি নেচার এস্ট্রোনমি জার্নালে এই মাসে প্রকাশিত হয়।

মানুষের রক্তপ্রবাহ যেমন আর্টিয়াম ও ভেন্ট্রিকলে একই সাথে থাকে না, ধাপে ধাপে কার্যপ্রণালি চলে। তেমনই একটি ব্লাকহোল প্রথমে প্রবল আকর্ষণে বস্তুদি নিজের দিকে টানে, করোনার মাঝে উত্তপ্ত হয়, তারপরই শক্তিশালি প্লাজমার জেট নির্গত হয়।

গ্রোনিংজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গবেষক মারিয়ানো মেন্ডেজ বলেন, “এটা শুনতে ভালো দেখাতে পারে, কিন্তু গবেষকদের মাঝে প্রায় ২০ বছরের বেশি সময় ধরে মতভেদ ছিল করোনা এবং প্লাজমা জেট একই কিনা তা নিয়ে। এখন আমরা দেখতে পেলাম  আসলে প্লাজমা জেটের  সূত্রপাত  করোনার মাধ্যমে হয়। প্রকৃতির ধারাবাহিকভাবে ঘটে চলা বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করা বেশ চ্যালেন্জিং ছিল। আমরা বছর ধরে নেওয়া উচ্চ শক্তি এবং নিম্ন শক্তির ডেটার প্রতিটা সেকেন্ড তুলনা করেছি।”

 

১৫ বছরের ডেটা বিশ্লেষণ!

গবেষকরা ১৫ বছর ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত টেলিস্কোপের ডেটা সংগ্রহ করেছেন! Tous les médicaments proposés sur notre pharmacie en ligne proviennent de laboratoires pharmaceutiques agréés, ils sont identiques à ceux vendus dans une pharmacie traditionnelle et proviennent exclusivement https://asgg.fr/ de circuits de distribution officiels. এর মাঝে নাসার স্পেইস টেলিস্কোপ রসি এক্স-রে টাইমিং এক্সপ্লোরার থেকে GRS 1915+105 ব্লাকহোল থেকে প্রতি তিন দিন পরপর করোনা হতে নির্গত উচ্চ শক্তির এক্স-রে রেডিয়েশন সনাক্ত করা হয়। গবেষকরা এই এক্স-রে ডেটাকে ভুস্থিত রাইল টেলিস্কোপ এর প্রতিনিয়ত সংগ্রহ করা ব্লাকহোলটির নিন্ম শক্তির রেডিয়েশনের ডেটার সাথে একত্রিত করা হয়।

গবেষনার কো-অথর দিয়েগো আলতামিরানো বলেন, “কিছু কিছু সময় আমাদের পদার্থবিদ্যার মৌলিক বিষয়গুলোকে বুঝতে বহু বছর ধরে প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষন করতে হয়! এটাও তেমন একটা পরিস্থিতি যেখানে আমাদের ১৫ বছর ধরে ভূস্থিত এবং স্পেইস টেলিস্কোপের ডেটাকে একত্র করতে হয়েছে, এটা বোঝার জন্য যে কীভাবে ব্লাকহোলের মতো মহাজাগতিক বস্তু তার পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির সাথে অবস্থার পরিবর্তন ঘটায়!”

ব্লাকহোলের এই ধারাবাহিকতা প্রমাণ করলেও কিছু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে! আর গবেষকরা ধারণা করছেন এই নীতি অধিক ভরের ব্লাকহোলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যেমন, গ্যালাক্সির কেন্দ্রে থাকা সুপারম্যাসিভ ব্লাকহোল। 


Sign in to comment
এই বিভাগের আরো পোস্ট