গ্রাজুয়েট! অতঃপর নীরব কান্না!
11 months ago By Md. Habibur Rahman 

ভার্সিটির ফাইনাল ইয়ারের ছেলেমেয়েরা পরিচিত মানুষ দেখলে লুকিয়ে বাঁচতে চাই তার কারন একটাই এই সময়টাতে পরিচিত কাউকে ফেস করলেই প্রশ্ন দুইটা মেয়ে হলে বিয়ে করবে কবে বয়স তো ফুরিয়ে এলো আর ছেলেদের ক্ষেত্রে চাকরী কবে হবে বাপু অমুকের চাচাতো ভাইয়ের শ্যালকের ছোট বউয়ের বড় ছেলেতো লেখাপড়া শেষ করার আগেই চাকরী পেয়ে বসে আছে।

অথচ এই মানুষগুলোর কাছে এই ছেলেটি বা মেয়েটি কখনো না গিয়েছে কোন বুদ্ধি নিতে অথবা কোন সাজেশন।

আরেক প্রকার মোটিভেশনাল স্পেশালিষ্টরা আরেক কাঠি সরেস।

আলভা এডিসন পারলে তুমি কেন পারবে না?

নজরুল পাড়লে তুমি কেন পারবে না?

তোমাকে পারতেই হবে।

এহেন পরিস্থিতিতে একজন সদ্য গ্রাজুয়েট বা ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থীর মাথায় ঢুকে যায় জীবনে লেখাপড়ার সত্যিকারের মানে বুঝি ভালো চাকরী।

ঐদিকে বি সি এস নামক এক স্বর্ণকাঠি দেশের অধিকাংশ যুবককে ৩০ বছর বয়সের আগ পর্যন্ত বেকার বানিয়ে বসিয়ে রাখবে আর এদিকে আত্নীয় স্বজনরা ফায়দা লুটবে অন্যের সাথে তুলনা টেনে।

যে সময়টাতে একজন শিক্ষার্থীর সবচেয়ে বেশী সাপোর্টের দরকার সে সময়ে তাকে বাঁচতে হবে মানুষ নামক আজব প্রাণীকে এড়িয়ে। 

এভাবেই একাকীত্ব, তারপর ডিপ্রেশন। কেউ ধরে নেশা,কেউ করে সুইসাইড। 

আল্টিমেটলি একজন প্রতিভার গলা চেপে চায়ের দোকানে চা খেতে খেতে হাস্যরসের সমালোচনার মজলিসে চায়ের স্বাদকে বাড়িয়ে তোলার প্রাণান্তকর চেষ্টা।

শেষমেষ যুদ্ধ জয়ের হাসি।

এজন্যই এই সিচুয়েশনে থাকে মানুষগুলোকে মনে করিয়ে দিতে ইচ্ছে হয় জ্যাক ওয়াগনারের সেই বিখ্যাত উক্তি--

"খারাপ সমালোচনার দিকে মন দিয়ো না। আজকের খবরের কাগজ কালকের টয়লেট পেপার"। 

কেনেথ টাইন্যান যথার্থই বলেছিলেন--

সমালোচক হচ্ছেন তাঁরা, যাঁরা পথ চেনেন, কিন্তু গাড়ি চালাতে পারেন না।

Sign in to comment
এই বিভাগের আরো পোস্ট