এবার বিসিএস ক্যাডারদের একটা বড় অংশই বাস্তবজীবনে বিবাহিত। যতগুলি আইডি আমার সামনে ভাসলো, লক্ষ্য করে দেখলাম - উনাদের প্রায় সবাই বিবাহিত। এক্ষেত্রে মরমী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সেই বিখ্যাত দুটি উক্তি চোখের সামনে ভাসলো -
" কোনো কালে একা হয়নি'ক জয়ী পুরুষের তরবারী
প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে, বিজয়লক্ষী নারী।"
কাজী নজরুল ইসলামের এ মহান দুটি উক্তি যেনো একদম চাক্ষুষমান হয়ে ধরা পড়লো। আমাদের সমাজে প্রায়ঃশ একটি বিষয় নিয়ে বিতর্কের অবতারণা করা হয়। ছেলে বেকার, বিয়ে করে কী করবে? আগে প্রতিষ্ঠিত হউক, তারপর বিয়ে করবে। একই দশা মেয়ের ফ্যামিলির ক্ষেত্রেও। তারা আর যাই হউক, বেকার কারো কাছে তাদের মেয়েকে সম্প্রদান করতে মোটেও ইচ্ছুক নয়। ভাবটা এমন- আজকে যে বেকার, সে বোধহয় আজীবন বেকার থাকবে। সে বুঝি কোনোদিন সু-প্রতিষ্ঠিত হবে না। এসব ভ্রান্ত ধারণার বেড়াজালে আটকে আছে আমাদের সমাজ। আমাদের একটি বড় রকমের দোষ আছে, আর তা হলো - আমরা সবকিছু একদম নিজের চোখে দেখে যেতে চাই। অদৃশ্য কিংবা নিয়তির প্রতি আমাদের বিশ্বাসের হার নিতান্তই দূর্বল। আমরা ভাবি - অমুক প্রতিষ্ঠিত ছেলের কাছে কন্যাকে পাত্রস্থ করতে পারলেই যেনো মেয়ের সুখ নিশ্চিত হয়ে যায়! প্রকৃতপক্ষে সুখ ব্যাপারটি এমন নয়। সুখ হলো আপেক্ষিক একটি ধারণা। আপনার মেয়ে কোথায় সুখে থাকবে, এটা নির্ভর করবে আপনার মেয়ে কোথায় সুখ অনুভব করতে চায় এবং কে আপনার মেয়েকে সুখে রাখতে চায় - এটার উপর। আমরা খুব সহসাই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি, এ জগতে অর্থ, প্রভাব-প্রতিপত্তি এ সকল-ই সব। জীবনে চলতে গেলে অবশ্যই এসবের প্রয়োজন, তবে এর বাইরেও কিছু না কিছু ব্যাপার থাকে - যেটা আমাদের অজান্তেই থেকে যায়। আর তা হলো - ভালোবাসা। আমি কাউকে বলতে শুনি নি - সে ক্ষুধার জ্বালায় কষ্টে আছে, তবে অহরহ মানুষকেই বলতে শুনেছি - একটু ভালোবাসা পেলেই হয়তো তার জীবনটা রঙিন হয়ে যেতো। এ পৃথিবীতে সবকিছুই মেকি, শুধু একটি বিষয়ই সত্য - ভালোবাসা, ভালোবাসা, ভালোবাসা।